এইচ এম বাবলু, প্রতিনিধি বাউফল, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালী জেলার বাউফলের ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে তাকে লাঞ্চিতও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিক্ষোভ শেষে এই ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র জানায়, বহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের জন্য মানববন্ধন করেন কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তবে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বর্জন করেন। আয়োজিত কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন অপর একটি বিদ্যালয়ের (আবদুস সালাম মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়) শরীরচর্চা শিক্ষক সাইদুর রহমান বাচ্চু। ওই সময় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আবুল হাসন, আবদুল হালিম, নাসির উদ্দিন ও সাবেক শিক্ষক মাওলানা আ: ওহাব। একাধীক শিক্ষার্থী জানান, কেনো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অংশ নিয়েছেন তা তাড়া জানেন না। ৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করতে বাধ্য করেন কয়েকজন শিক্ষক। ৯বম ও ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সহ অধীকাংশ শিক্ষকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি। উক্ত প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন সহ ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী থাকলেও মাত্র তিনজন শিক্ষক ছাত্রদের মাঝে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে এসব কান্ড ঘটিয়ছন। নাম প্রকাশ অনিছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান বিদ্যালয়ের প্রত্যাহিক সমাবেশ চলাকালীন অব: শিক্ষক আ: ওহাব ও অপর একটি বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক বাচ্চু শিক্ষার্থীদর ভয় দেখিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহন করত বাধ্য করেন। তাদের উভয়রই বাড়ী বিদ্যালয়ের কাছে হওয়ায় স্থানীয় পেশীশক্তির প্রভাব বিস্তার করেন। এছাড়া আ: ওহাব ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের অধীনে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে অবসর গেলেও এখনো তিনিই অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে আবদুল ওহাব বলেন আমি সভাপতি হতে চাই এটা সত্য না। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনিয়মের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছি। শিক্ষক বাচ্চু বলেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেছি; তবে তিনি তার প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিয় অন্য একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন জানত চাইলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। প্রতিষ্ঠান প্রধান মোঃ. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রতিষ্ঠানটি দখল নিয়ে লুটপাট চালানোর জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে।