এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে গভীর নলকূপ দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের মারপিটে দুই শিক্ষার্থী আহত, স্কুল ড্রেস ছিড়ে ফেলায় থানায় অভিযোগ।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের পলীগাতী গ্রামের মৃত: লুৎফর রহমানের ছেলে লিলু সরদার ও একই গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে মুনছুর রহমান, চৌমহনী এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে ছানা মিয়ার মধ্যে গভীর নলকূপ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে।
বুধবার সকালে লিলু সরদার গভীর নলকূপ চালু করে তার স্কীমের কৃষকদের আলু ক্ষেতে পানি সেচ প্রদান করতে থাকে। হঠাৎ করে সকাল ১০টার দিকে প্রতিপক্ষ মুনছুর রহমান, ছানা মিয়াসহ তাদের ভাড়াটিয়া ২০/২৫ জন লোকজন এসে গভীর নলকূপটি বন্ধ করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে লিলু সরদারসহ তার লোকজন ওই গভীর নলকূপের তালা ভেঙ্গে ফেলে পুনরায় গভীর নলকুপটি চালু করে। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পলীগাতী গ্রামের বোরহান আলীর ছেলে সুমন ইসলাম ও একই গ্রামের মতিন সরদার এর ছেলে সৈকত নামুজা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ মুনছুর রহমানের লোকজন তাদেরকে বেধরক ভাবে মারপিট করে ও স্কুলে ড্রেস ছিড়ে ফেলে।
এ ঘটনায় লিলু সরদার বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে লিলু সরদার বলেন, গভীর নলকূপটি আমরা ১৪৪ জন সদস্য মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ মুনছুর রহমান ও ছানা মিয়া ঈর্ষান্বিত হয়ে হঠাৎ করেই গভীর নলকূপের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
আমরা তালা ভেঙ্গে ফেললে প্রতিপক্ষ ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন আমাদেরকে ধাওয়া করলে আমরাও পাল্টা ধাওয়া করি।
কিন্তু প্রতিপক্ষরা দু’জন স্কুল শিক্ষার্থীকে বেধরক মারপিট করে আহত করেছে ও তাদের স্কুল ড্রেস ছিড়ে ফেলে এটা দুঃখ জনক ঘটনা।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।