রায়হান আহমেদ ,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : জিরো ডোজ (বাদ পড়া) শিশু, আপার ইম্যুনাইজড (আংশিক টিকাপ্রাপ্ত) শিশু এবং মিসড কম্যুনিটি সনাক্ত করে টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারলে আমরা সবাই একত্রে সুরক্ষিত থাকতে পারবো- শ্লোগানে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার সকাল ১১টায় পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষে এডভোকেসী সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমার সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহি অফিসার রুবাইয়া আফরোজ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ইউনিটের ডাক্তার উৎপল চাকম (এস আইএম ও), পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তীরনা চাকমা, ডাক্তার সুমেন চাকমা , ইউপি চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমা, আনন্দ জয় চাকমা, ভুমি ধর রোয়াজা, ইউ পি সদস্য সদস্যাগন, স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য সেবিকা গন উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেসী সভায় বক্তারা বলেন, সরকার দেশের সকল শিশুকে শতভাগ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার চেষ্টা করছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো কোন শিশু যেন টিকা থেকে বাদ না পড়ে। শিশুদের টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসার দায়িত্ব অভিভাবকদের। এজন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এ পর্যন্ত দেশের ৮৪ শতাংশ শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। একই সাথে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল গ্রহণের হারও বেড়েছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত , জন সচেতনতার সাথে সঠিক সময়ে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের রোগমুক্ত রাখা যায়। সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় থাকলে শিশু মুত্যু ও মাতৃমুত্যু হার হ্রাস করা যাবে।
মন্তব্য