দাউদকান্দি(কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক শিক্ষিকাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং শিক্ষিকার নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলাবাজ,প্রতারক,অর্থলোভী ও নামধারী কথিত সাংবাদিক সালমা আক্তারের দায়ের করা উদ্দেশ্যমূলক,হয়রানীমূলক মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ৭টি মামলা দায়ের এবং হুমকি-ধামকিসহ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন উপজেলার তালতলী গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষিকা শাহনাজ আক্তার সুমনা।
মঙ্গলবার সকালে তার নিজ বাসভবনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে সংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষিকা শাহনাজ আক্তার সুমনা।
তিনি সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্য পাঠে বলেন,গত ১ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দি পৌরসভার তালতলী গ্রামে আমার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ইসরাতকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে শুনি আমার ছাত্রীর বাবা-মার কাছে সালমা আক্তার ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে মামলা দেয়ার হুমকি-ধামকি দেন।তখন বিষয়টি আমি সমাধান করার চেষ্টা করি এবং ইসরাতের মায়ের সাথে কথা বলি।তখন আমার ছাত্রী ‘ইসরাতের মা’ মান সম্মানের ভয়ে সালমাকে নগদ ২০হাজার টাকা দিয়ে বলেন,আমাকে আর হয়রানী করবেন না।সালমা রাজি হয়ে ওই টাকা নিয়ে চলে যায়।কিন্তু পরের দিন ভোর ৬টায় সে দুইজন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে ইসরাতের মার কাছে পুনরায় ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।পরবর্তীতে আমি একথা শুনার পর সালমার ব্যাপারে কয়েকজনের কাছে স্বাক্ষী দেই যে,সালমা ওই পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন এবং সে বলেন ভবিষতে আর টাকা চাইবেন না।একথা বলে সালমা চলে যায়।এ বিষয়ে স্বাক্ষী দেয়ার পর নামধারী কথিত সাংবাদিক সালমা আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা,বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক ৭টি মামলা দায়ের করেছে।শুধু আমাকে নয়, বিভিন্ন মানুষের কাছে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করেন।কেউ যদি চাঁদা না দেন,তাহলে ওই ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।সে একজন মামলাবাজ , প্রতারক ও চাঁদাবাজ।তার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে সব অপকর্ম বেড়িয়ে আসবে।
এমতাবস্তায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৭টি মিথ্যা,বানোয়াট ও হয়রানীমূলক মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই এবং প্রতারক নামধারী সাংবাদিক সালমা আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য