দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার গৌরীপুর রাবেয়া সিএনজি স্টেশনের নিকট মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অপসারণকৃত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন যোগদান করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গ্রুপের শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহত শিক্ষার্থীদের গৌরীপুর হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ইউএনওর অনুমতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার যোগদান করতে গেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই গ্রুপ সৃষ্টি হয়। অপসারণকৃত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন স্কুলে যোগদান করতে গেলে কলে এ সংঘর্ষ বাধে।
এতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামকে সমর্থন দেন স্কুলের শিক্ষক, স্থানীয় অভিভাবক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন।
অভিভাবক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ‘আগস্টে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাকে অপসারণ করে নতুন অধ্যক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছে। আগের অধ্যক্ষ ইচ্ছা করে আজকে এ সংঘাত ঘটিয়েছেন।’
যোগদানকৃত অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘তিন মাস ছুটি শেষ করে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে গেলে শিক্ষার্থীরা আমাকে রিসিভ করতে আসে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বহিরাগত লোক দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় আমি যোগদান করতে পারিনি।’
দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর রাবেয়া সিএনজি স্টেশনে এসে গাছের গুঁড়ি ফেলে উভয়পাশে যানবাহন বন্ধ করে অবরোধ করে। দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ এসে তাদের অবরোধ তুলে নিতে বললে তারা উল্টো মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দেয়। পরে তিন গাড়ি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেয়।
এ সময় কলেজ শাখার শিক্ষার্থী সিহাব উদ্দীন বলেন, ‘আগের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন তিন মাস ছুটি নিয়ে আজকে যোগদান করতে গেলে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম ও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিনের ভাই ইব্রাহিমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমাদের ১০-১২ শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কেন হামলা করব? বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী, স্কুলের শিক্ষার্থী ও ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা দুর্নীতির কারণে জসিম সাহেবকে অপসারণ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষের যোগদান নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা কারা করেছে তা দেখা হবে।
মন্তব্য