আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাধা-বিঘ্নের এই পৃথিবীতে স্বপ্ন জয়ের সংগ্রামে কঠিন পথ পেরিয়ে এক নারী অভিযাত্রী ছুটে চলেছেন পৃথিবীর এক দেশ থেকে আরেক দেশে। ইতিমধ্যে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ১৬৭ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড অর্জন করেন ইতিহাস সৃষ্টিকারী নারী নাজমুন নাহার।
এই মুহূর্তে বিশ্বের বাকি দেশগুলো ভ্রমণের প্রস্তুতি চলছে তাঁর। গত ২৩ বছরে বিশ্ব ভ্রমণের সময়কালের তাঁর সংগ্রামগুলো এতটা সহজ ছিল না।
কিন্তু তাঁর চেষ্টা এবং মনোবল তাকেও অভিষ্ঠ লক্ষ্যে নিয়ে চলছে। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অসংখ্য নারীরা।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৬৭ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড অর্জন করেছেন নাজমুন নাহার। বিশ্বের বাকি দেশ ভ্রমণের প্রস্তুতি চলছে তার।
তাই গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ব্রিটিশ বাংলাদেশি উইমেন্স ফোরাম তাকে ‘ইন্সপিরেশনাল উইমেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ দিয়ে সম্মানিত করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেড ব্রিজের মেয়র জোৎস্না ইসলাম।
এ ছাড়া লন্ডনের বিভিন্ন অঞ্চলের কাউন্সিলর ও ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অঞ্জনা আলম, লুনা সাবিরা ,আরজুমান্দ মুন্নির নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাংলাদেশী ওমেন্স ফোরাম এর অন্নান্য সদস্যদের সহযোগিতায় সম্মাননা তুলে দেয়া হয় নাজমুন নাহারকে।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মিনহাজ খান.
অঞ্জনা আলম বলেন, ‘নাজমুন নাহার বিশ্ব ভ্রমণের যে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা যুগ যুগ ধরে নারীকে উৎসাহিত করবে।
তিনি কঠিন পথ ডিঙিয়ে লাল সবুজের পতাকা বহন করেছেন পৃথিবীতে। তিনি বাংলাদেশের গর্ব। তাই আমরা তাকে সম্মাননা দিলাম।’
আরজুমান্দ মুন্নি ,‘বলেন যুগ যুগ ধরে লাল সবুজের পতাকা হাতে নাজমুন নাহারের বিশ্ব ভ্রমণের এই দৃষ্টান্ত পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করবে . স্বপ্ন , চেষ্টা আর সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি ।
তিনি সকল নারীর অনুপ্রেরানা .‘লুনা সাবিরা বলেন, ‘নাজমুন নাহারের পৃথিবী ভ্রমণের স্ট্রাগলগুলো আমাদের উৎসাহিত করে। তিনি খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক নারী। তার সাহস এবং মনোবল দেখে অসংখ্য নারীর মনে নতুন স্বপ্ন জাগ্রত হচ্ছে।’
আতিয়া বেগম ঝর্ণা বলেন, ‘যে বাবা-মা নাজমুনকে বিশ্ব ভ্রমণের সাহস জুগিয়েছেন, আমি তাদের স্যালুট জানাই। আমাদের স্বপ্নকে যেন পূরণ করেছেন একজন নাজমুন নাহার।
তিনি আমাদের সন্তানদের জন্য আইকন।’
অঞ্জনা আলম বলেন, ‘নাজমুন নাহার বিশ্ব ভ্রমণের যে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা যুগ যুগ ধরে নারীকে উৎসাহিত করবে।
তিনি কঠিন পথ ডিঙিয়ে লাল সবুজের পতাকা বহন করেছেন পৃথিবীতে। তিনি বাংলাদেশের গর্ব। তাই আমরা তাকে সম্মাননা দিলাম।’
সবশেষে নাজমুন নাহার তুলে ধরেন বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন, সংগ্রাম ও সফলতার গল্প।
বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের পতাকা বহন, বিশ্ব শান্তির বার্তা ও তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের রেকর্ডের মাধ্যমে অসংখ্য নারীরা উৎসাহিত হচ্ছে।
নাজমুন পেয়েছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য অর্জন ও সম্মাননা। নাজমুন “পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। লন্ডনে পেয়েছেন স্পেশাল এওয়ার্ড, বাংলাদেশে পেয়েছেন উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা, পিস রানার অ্যাওয়ার্ড, বিদ্রোহী নারী সম্মাননা, মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উইমেন অব বাংলাদেশ, গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড।
জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি, সফল নারী সম্মাননা, লক্ষ্মী তারুণ্য সম্মাননাসহ দেশে-বিদেশে মোট পঞ্চাশটির বংশী সম্মাননা পেয়েছেন।
এরই মধ্যে ভ্রমণের রুট করেছেন মঙ্গোলিয়া থেকে শুরু করে মাদাগাস্কার, সী শেল, কোমোরোস, মালাউই, ক্যামেরুন ও গাবন পর্যন্ত।
নাজমুন, বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। যুগে যুগে এভাবেই নারীর জয় হোক সর্বত্র।
মন্তব্য