এইচ এম বাবলু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি এক কিলোমিটারের রাস্তার কাজটি। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তিন বছর যাবত সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে পথচারীদের জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চড়মে যেন ভোগান্তির শেষ নেই। দুমকি থানা ব্রিজের পশ্চিমপার্শে মরহুম হাফেজ গোলাম সরোয়ার হাফিজী ও নুরানী মাদ্রাসা হয়ে বাদুয়া শ্রীরামপুর ১৭ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ তিন বছর ধরে পড়ে আছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাটির মাঝে মাঝে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি জমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা। এ ছাড়াও মাঝে মাঝে ইটের খোয়ার স্তূপ করে ফেলে রাখায় অটো, রিকশা, ভ্যান এমনকি মোটরসাইকেল চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অতিদ্রুত কাজ সম্পন্নের দাবি এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ২০২০ সালের ৭ই জানুয়ারি টেন্ডার আহ্বান করেন এলজিইডি এবং ১১ই ফেব্রুয়ারি নিয়ম মোতাবেক কাজটি সম্পন্ন করার অনুমতি পায় পটুয়াখালী ‘পল্লী স্টোর’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ ২০২১ সালের ১৬ই মার্চ পর্যন্ত নির্মাণের সময় বেঁধে দিলেও তিন বছরের অধিক সময়ে শেষ হয়নি রাস্তার কাজ। চরম ভোগান্তিতে পড়ে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উপজেলায় আরও ৬টি রাস্তা পাকাকরণের কাজ পেয়েছে। সেগুলোর রাস্তার কাজও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি বলে জানান ভুক্তভূগীরা। ভুক্তভূগী নিয়মিত পথচারী কান্দার বাড়ির রুহুল আমিন জানান বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচলে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোন বালাই নেই। দুর্ভোগের বিষয়ে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করলেও এলাকাবাসী কাজের কোন অগ্রগতি দেখছেন না। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের দাবি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে অতি দ্রুত সড়কের কাজ ও সম্পন্ন করে এলাকাবাসীর চলাচলের উপযোগী করে দিবেন।
মন্তব্য