সৈয়দ মনির আহমদ : ফেনীর সোনাগাজীতে ২০ জন মাদককারবারির জীবন পাল্টে দিয়ে কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সম্মাননা-স্মারক ও সম্মাননাপত্র পেয়েছেন উপজেলার ৩নম্বর মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাদল।
রোববার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের ব্যাস্কুয়েট হল, হোটেল সৈকতে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এর আগে ২৬ জুলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যেমে তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়।
জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘এক চেয়ারম্যান বদলে দিলেন ২০ মাদককারবারির জীবন’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যেমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নে উপস্থিত হয়ে বদলে যাওয়া ২০ মাদককারবারির সু-পথে আসার নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের ভূমিকা এবং মাদককারবারিদের সাথে কথা বলে সংবাদের সত্যতা খুঁজে পান। মাদককারবারিরা তাকে জানায়, তারা দীর্ঘ দিন মাদককারবারের সাথে জড়িত ছিল। চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদলের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। জেলহাজত থেকে মুক্ত হাওয়ার পর চেয়ারম্যান তাদের (মাদককারবারি) সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেন এবং পূর্ণবাসনের আশ্বস্ত করেন। পরে তাদের ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ফেনী জেলা উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ এবং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মাদকবিক্রি ও মাদক সেবনের সাথে জড়িত না হওয়ার শপথ পাঠ করান। বর্তমানে তাদের মধ্যে একজনকে ইউনিয়ন পরিষদের মহল্লাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। কয়েকজনকে আর্থিক সহায়তায় প্রবাসে পাঠিয়ে চাকবির ব্যবস্থা করেছেন এবং বাকিরা নিজ এলাকায় ব্যবস্থা-বাণিজ্য চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবার করছে।
২০ মাদককারবারি সুপথে ফিরে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল বলেন, ‘ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে কাজ করতে উৎসাহ পাই। মাদক-সেবিদের উৎপাতে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে। এ অবস্থায় প্রথমে মাদককারবারি ও সেবনকারীদের চিহ্নিত করে থানা পুলিশে সহায়তায় জেলহাজতে পাঠালে উপদ্রব কমে যায়। এরপর চিহ্নিত করে ২০ জনকে জামিনে আসার পর শপথ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করি।
মন্তব্য