বিনোদন ডেস্ক : কখনও গ্রাফিক ডিজাইন, কখনও ক্ল্যাসিক এ্যানিমেশন, কখনও স্ক্রীপ্ট রাইটিং কত কীই না করেছেন এই কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পারিচালক। কিন্তু মাথায় সঙ্গীতের পোকা কোনকিছুতেই স্থির হতে দেয় নি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয়শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের স্ক্রীপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন সেখানে সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে। এখন তিনি নিজ বাসায় হোম স্টুডিওতে সঙ্গীতের কাজই করে যাচ্ছেন প্রচার বিমুখ এই কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক। প্রশ্ন করা হলো, কেন তাকে কোন গণ মাধ্যমেদেখা যায় না। সহজ উত্তর, ‘আমি সেরকম যোগ্য কেউ নই হয়তো তাই কেউ আমাকে ডাকে না অথবা চেনে না তাই হয়তো ডাকে না।’ অথচ ২০০৩ সালেই ঢাকা বেতার আর বাংলাদেশ টেলিভিশনে আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়েছেন। সে বছর তিনি ঢাকা বেতারে নাট্যশিল্পী হিসেবেও তালিকাভূক্ত হন।
গত দু’বছর হলো বেতারে দু’একটা অনুষ্ঠান পেলেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ডাক পাননি অনেকগুলো বছর।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকাতেও তিনি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০১১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ওপর নির্মিত জীবনালেখ্যতে দশটি গানের সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে কণ্ঠশিল্পী ছিলেন, স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী আব্দুল জব্বার, রথীন্দ্রনাথ রায়, সুবীর নন্দী, শাহীন সামাদ। এছাড়াও ছিলেন কণ্ঠশিল্পী শুভ্রদেব, নাট্যশিল্পী ফজলুর রহমান বাবু, কণ্ঠশিল্পী আবু বকর এবং চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ ঝুমা ও এমরান। অনুষ্ঠানটি প্রচার করে যেতে পারেননি আয়োজক বিশিষ্ট নাট্যকর্মী, গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী টুকু খান। তিনি দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালে প্রথিবী ছেড়ে চলে যান। অনুষ্ঠান থেকে নেয়া কিছু গান এখন ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যায়।
বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এর দুটি গানের সঙ্গীত পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী সহ অসংখ্য গুণি শিল্পীরা তার সঙ্গীতে গান গেয়েছেন।
কণ্ঠশিল্পী হিসেবে নিজের গানের খোঁজ নিতে চাইলে জানান, আসলে পারিচিত ইউটিউব প্লাটফর্মে গান দিয়ে দেখেছি, ওরা স্টার শিল্পী না হলে প্রচার করে না। তাই নিজের ইউটিউব আর ফেইসবুকেই ছেড়ে দেই। দুই একজন শোনে ওতেই খুশি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন, আমার একটা গানের বিনিময়ে একটা কোম্পানী পারিশ্রমিকও দিয়েছে কিন্তু কেন যেন গানটি আর প্রচার করলো না। আরেক কোম্পানী একইভাবে পারিশ্রমিক দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু মিষ্টির বাক্সের জিাইনের মত করে লিরিক্যাল ভিডিও করে তাদের চ্যানেলে ছেড়েছে। অথচ কথা ছিলো খুব ভালোভাবে প্রচার করবে। পারিশ্রমিক যেহেতু নিয়েছি এখন গান তো তাদের হয়ে গেছে কিছুও বলতেও পারছি না।
আসলে ঘরে স্টুডিও করে গÐিটা ঘরেই তৈরি হয়ে গেছে। খুব দায় না ঠেকলে বাইরে বের হওয়া হয় না। এভাবেই হয়েতো আমার সার্কেলটা খুব কমিয়ে ফেলেছি। আর তার উপরে ইন্টারনেটের যুগ। ক্লায়েন্টগুলো দেশের থেকে প্রবাসীই বেশি। দেশের মিউজিশিয়ানদের কাছে ধোকা টোকা খেয়ে শেষে আমাকে দিয়ে মিউজিক করিয়ে নিচ্ছে আরকি। গান খুব একটা গাওয়া হয়ে ওঠে না তাই, এভাবেই চলে যাচ্ছে।
নিজে গাইবার বেলায় একটু হালকা ক্ল্যাসিক ঢঙএর অথবা হালকা মেলোডিয়াস গানই পছন্দ। কিন্তু মিউজিক করছি একেবারে হিপহপ থেকে শুরু করে ফোক স্টাইল। এই তো বিটিভির গত ঈদ আনন্দমেলার জন্য তিনটা ওরকম গানই বানিয়ে দিলাম। তার আগেরবারও বানিয়েছি। সাফ ফুটবল ২০২২ বিজয়ী মেয়ে ফুটবলারদের অভিনন্দন জানিয়ে একটা গান বানিয়ে নিজেই গেয়েছি। আমার ইউটিউব চ্যানেলে আছে, এই যে লিঙ্ক- যঃঃঢ়ং://ুড়ঁঃঁ.নব/হ৭িৎ৭ৎ৯ঞংউ৪?ষরংঃ=চখগ১য়জকষতওভুঘণণষষঃনীপঙুঊঈ২ঈী-ঢ়পঔবস। কেউ জানেই না হা হাহাহা… আমি এভাবেই নীরবে সঙ্গীতের কাজ করে যেতে চাই।
মন্তব্য